বিডিনিউজ ১০, আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল ও দুটি অঞ্চলে বিভক্ত করার জবাবে ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিত করেছে পাকিস্তান।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের একদিন পর পাকিস্তানে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) এক বৈঠকে বুধবার ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূতকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত
নেয়া হয়। একই সঙ্গে ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে ইসলামাবাদে ফেরত নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে ওই বৈঠকে।
কাশ্মীর সঙ্কটের সমাধানে দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়ে আসছে পাকিস্তান। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলে ভারত সরকারের নেয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে আবেদন করার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান।
কাশ্মীরে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সম্প্রতি ধন্যবাদ জানান পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যস্থতার প্রস্তাবের খবরকে ভিত্তিহীন দাবি করেছে ভারত।
বুধবার পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকের পর ইমরান খান এক টুইট বার্তায় ভারতের বিরুদ্ধে নেয়া পাঁচটি পদক্ষেপের তথ্য জানান।
পাকিস্তানের পাঁচ পদক্ষেপ
* ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত
* দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থগিত
* দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা পুনরায় পর্যালোচনা
* কাশ্মীর সঙ্কটকে নিরাপত্তা পরিষদসহ জাতিসংঘে তুলে ধরা
* ১৪ আগস্টে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসকে কাশ্মীরের সাহসী জনগণের লড়াইয়ে সংহতি জানিয়ে উদযাপন
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কাশ্মীরের মর্যাদা বাতিলের ঘটনায় গুরুতর প্রতিক্রিয়া দেখানোর ঘোষণা দেয়ার একদিন পর ভারতের বিরুদ্ধে এসব পদেক্ষেপের কথা জানালেন ইমরান খান।
এর আগে মঙ্গলবার ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পার্লামেন্টে বলেন, পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরসহ পুরো জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্য এবং কাশ্মীরের মর্যাদা বাতিলের ঘটনায় প্রতিশোধ নেয়া হবে বলে জানান ইমরান খান।
পাকিস্তানের পার্লামেন্টের যৌথ এক অধিবেশনে ইমরান খান বলেন, তারা (ভারত) পাকিস্তা অধিকৃত কাশ্মীরে কিছু করলে… আমরা তার প্রতিশোধ নেব…শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত লড়াই করবো।
পাকিস্তান ছাড়াও কাশ্মীরকে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যেমে বিভক্ত এবং বিশেষ মর্যাদা বাতিলের বিরোধীতা করছে ভারতের চিরবৈরী আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনও। কাশ্মীরের মর্যাদা বাতিলে ভারতের একতরফা সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত হয়নি বলে জানায় চীন। কাশ্মীর ভেঙে লাদাখকে পৃথক অঞ্চল করার সিদ্ধান্তেরও বিরোধীতা করেছে চীন।